নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়ায় ভূমিদস্যুর অনুষ্ঠানে গিয়ে বির্তকে জড়ালেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। শুক্রবার ওই গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গাপূজার ম-প গুড়িয়ে দেয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা রফিকের অনুষ্ঠানে সজ্জন এই বর্ষীয়াণ নেতার উপস্থিতি নিয়ে স্থানীয়রা সমালোচনায় মুখর হয়।
তাদের মতে, নাওড়ায় কয়েক শ’ হিন্দু পরিবারকে ভিটেমাটি ছাড়া করেছে এই আন্ডা রফিক। শুধু তাই নয়, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর এই ইউপি চেয়ারম্যানের নির্যাতনের গল্প সিনেমাকেও হার মানায়। নাওড়ায় কয়েকটি ম-পে পূজোর আয়োজন করা হলেও রফিক তা বন্ধ করে দেন। ম-পে পূজার আয়োজন ও গ্রামে ফিরে যাবার দাবিতে স্থানীয়রা মানব বন্ধনও করে। কিন্তু সেই রফিকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সজ্জন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাই নিজেকেই বির্তকিত করেননি, দলের ভাবমূর্তিও সঙ্কটে ফেলেছেন।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, আব্দুল হাইয়ের উপস্থিতিকে পূজি করে কায়েতপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। সংখ্যালঘুদের উপর এর নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়বে।
এদিকে নাওড়া পূজোর আয়োজনকে ঘিরে কয়েকদিন ধরেই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। হিন্দু সম্প্রদায় রফিক বাহিনীর ভয়ে পূজা পালন নিয়েও শঙ্কায় ছিল। কিন্তু শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক তাদের এ শঙ্কাও দূর করেন। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত করে তাদের এ ধর্মীয় উৎসব নিবিঘœ করেন। অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো: শহীদ বাদল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান দীপু, কৃষক লীগ নেতা রোকনউদ্দিন সহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নাওড়ায় দূর্গোৎসব পালনে হিন্দু সম্প্রদায় তাদের শঙ্কার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও আবেদন করে। এরপ্রেক্ষিতে সক্রিয় হন স্থানীয় সাংসদ। অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এতোকিছুর পরেও রফিকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।